সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি॥ প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ছোট-বড় ট্রলার নিয়ে নির্বিচারে চলছে ডিমওয়ালা মাছ নিধন। অথচ মা ইলিশের নিরাপদ বিচরণ ও ডিম ছাড়ার জন্য ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ, বিপণন, পরিবহন, বেচা-কেনা, বিনিময় এবং মজুদ নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুগন্ধা নদীর দপদপিয়া খেয়াঘাট, অনুরাগ বাজার খেয়াঘাট, খোঁজাখালি, মাটিভাংগা, সরই পয়েন্ট এবং বিষখালী নদীর নলবুনিয়া খেয়াঘাট, ইসলামাবাদ ও হদুয়া পয়েন্টে দেখা গেছে এমন চিত্র। মা ইলিশ শিকারের এ পয়েন্টগুলো ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ভেতরে পড়েছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অসাধু জেলেরা দেদারছে ডিমওয়ালা মা ইলিশ শিকার করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ নদীতীরবর্তী বাসিন্দাদের। ধরা হচ্ছে ঝাঁকে ঝাঁকে মা ইলিশ। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় রাতের আঁধারে এ মাছ বিক্রি হচ্ছে নদীসংলগ্ন বিভিন্ন হাট-বাজার ও ঝোপ ঝাড়ে। জনবল সংকট থাকার পরেও উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ মা ইলিশ নিধন ঠেকাতে এ দুটো নদীতে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে। অপরিচিত ট্রলার বা নৌকা দেখলেই জাল ছেড়ে নিরাপদে পালিয়ে যাওয়ায় এসব মৌসুমী জেলেদের আটক করতে পারছে না প্রশাসন।
স্থানীয়রা জানায়, নৌকাভর্তি ইলিশ পাইকারদের কাছে মোবাইলফোনের মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে। তারা অস্থায়ী হাটে এসে মাছ নিয়ে যাচ্ছেন। সন্ধ্যার পর বসে এসব হাট। জাটকা কেজি প্রতি ২০০-৩০০ টাকা এবং বড় ইলিশ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নলছিটি উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, অভিযান শুরু পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। একই সঙ্গে অর্ধশতাধিক ট্রলার জব্দ ও মামুন খান (৩০) নামের এক জেলেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদ- দেয়া হয়েছে।
উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা রমনী কান্ত মিস্ত্রি বলেন, সরকারি নিষেধাজ্ঞার সময় মা ইলিশ শিকার বন্ধে যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
নলছিটির ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, প্রজনন মৌসুমে ইলিশ নিধন রোধে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে। মা ইলিশ রক্ষায় নদীতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply